সুজন মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “দীর্ঘদিন আগে কোর্স করেছি। নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি, প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। তবুও দায়িত্ব পাইনি, অথচ আশরাফুল খুব দ্রুত দায়িত্ব পেয়ে গেল। তাকে ‘লাকি’ বলা ছাড়া উপায় নেই।” যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন সুযোগ না পাওয়ায় সুজনের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তর আলোচনা চলছে।
-
এক পক্ষ মনে করছেন, দেশীয় অভিজ্ঞ কোচদের যথাযথ মূল্যায়নের সময় এসেছে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও প্রমাণিত দক্ষতার অধিকারী কোচদের সুযোগ দেওয়া উচিত।
-
অন্যদিকে, অনেকে আশরাফুলের দ্রুত নিয়োগকে জাতীয় দলের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তরুণ ও সদ্যপ্রশিক্ষিত কোচদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা দলের জন্য লাভজনক হতে পারে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্ন:
বর্তমান বিতর্কের মূল প্রশ্ন হলো, সুজনকেই কি আগে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বানানো উচিত ছিল? অভিজ্ঞতা বনাম নতুনত্বের এই দ্বন্দ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে গুরুত্বসহকারে বিবেচনার দাবি রাখে।
বিশ্লেষণ:
-
সুজনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা ও উচ্চমানের কোচিং কোর্স থাকা সত্ত্বেও সুযোগ না পাওয়া অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
-
অন্যদিকে, আশরাফুলের দ্রুত নিয়োগ দলকে তরুণ ও উদ্যমী কোচিং স্টাইল দিতে পারে।
-
এই বিতর্ক বিসিবির জন্যও এক শিক্ষণীয় বিষয়—দেশীয় অভিজ্ঞ কোচদের মূল্যায়ন ও সুযোগ বিতরণের নীতি আরও স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন।
সংক্ষেপে, বিষয়টি শুধু কোচিং নিয়োগের নয়, বরং অভিজ্ঞতা ও নতুনত্বের ভারসাম্য, ন্যায্য সুযোগ বিতরণ এবং জাতীয় দলের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন