ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে হঠাৎই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ২০২৫ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির আগেই তারা টেস্ট ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে খারাপ পারফরম্যান্সের পর থেকেই তাদের অবসরের গুঞ্জন চলছিল। তবে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কারসন ঘাবরির একটি বিস্ফোরক মন্তব্যে এই সিদ্ধান্তের পেছনে উঠে এসেছে ভিন্ন এক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
কারসন ঘাবরি দাবি করেছেন, কোহলি এবং রোহিত কেউই স্বেচ্ছায় অবসর নেননি, বরং বিসিসিআইর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপে তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘাবরি বলেন, কোহলি এবং রোহিত উভয়েই ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বোর্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তাদের এই পথ থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
কোহলি আরও কয়েক বছর অনায়াসে খেলতে পারত, কিন্তু তাকে এবং রোহিতকেও সরে যেতে বলা হয়েছে।
ঘাবরি আরও বলেন, এমন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের, যারা দেশের জন্য এত অবদান রেখেছেন, তাদের আরও সম্মানজনক বিদায় জানানো উচিত ছিল।
ঘাবরি মনে করেন, নির্বাচক কমিটি ও বোর্ডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এই দুই তারকা ক্রিকেটার হয়তো ফিট ছিলেন না। তিনি বলেন, এটা বিসিসিআইর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ফল।
নির্বাচক এবং বোর্ডের ভিন্ন পরিকল্পনার কারণে তাদের বাধ্য হয়ে আগেভাগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যেতে হয়েছে।
এটা তাঁদের নিজের সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং তারা তুচ্ছ রাজনীতির শিকার হয়েছেন।
টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণার পরপরই ক্রিকেট মহলে গুঞ্জন উঠেছে যে কোহলি ও রোহিত খুব শিগগিরই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিতে পারেন।
যদি এটি সত্যি হয়, তবে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, বিরাট কোহলি ৩০২টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৪,১৮১ রান সংগ্রহ করেছেন, যেখানে রোহিত শর্মা ২৭২টি ম্যাচে করেছেন ১১,১৬৮ রান। এই দুই ক্রিকেটারই ওয়ানডে ফরম্যাটের অন্যতম সেরা পারফর্মার।