আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ক্লাব বিশ্বকাপ। বিশ্বের সব নামি-দামি ক্লাব অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে। তবে এতে অংশ নিতে পারছে না বার্সেলোনা, লিভারপুল এবং আর্সেনালের মতো জনপ্রিয় ক্লাবগুলো।
এর আগে ফিফা ঘোষণা করেছিল ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় যারা শিরোপা জিতবে, তারা সরাসরি ২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
সেই নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপ থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী চেলসি, ২০২২ ও ২০২৪ সালের বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এবং ২০২৩ সালের বিজয়ী ম্যানচেস্টার সিটি।
ইউরোপ থেকে ১২টি ক্লাব সুযোগ পাবে ফিফার নতুন এই টুর্নামেন্টে। এর মধ্যে তিনটি দল এসেছে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে। বাকি ৯টি দল বাছাই করা হয়েছে গত চার বছরের ইউরোপিয়ান পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে উয়েফার র্যাঙ্কিং থেকে।
এই র্যাঙ্কিং পদ্ধতির নিয়ম হলো, কোনো একটি দেশ থেকে সর্বোচ্চ দুটি ক্লাব খেলতে পারবে, যদি না উক্ত দেশের একাধিক দল মহাদেশীয় লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়।
সে হিসেবে স্পেন থেকে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে। অন্য দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। তবে শেষ পর্যন্ত গত চার বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগে পারফরম্যান্স বিবেচনায় ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাটলেটিকো।
একই নিয়মে, ইংল্যান্ড থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে, উয়েফা র্যাঙ্কিং অনুসারে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইন্টার মিলান এবং দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পিএসজিও জায়গা পেয়েছে আসরে।
তবে, ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে একটি বিষয় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়—বার্সেলোনা, লিভারপুল এবং আর্সেনালের মতো জনপ্রিয় দলগুলো অনুপস্থিত থাকায় টুর্নামেন্টটির দর্শক আগ্রহ কিছুটা কমে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :