লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েন, বহু পুরোনো ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ধারক। সেই ভিয়েনতিয়েনেই নতুন এক ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। আজ নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক লাওসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল।
গত মাসে সিনিয়র দল প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর, এবার ছোটদের পালা। মূল পর্বে ওঠার টিকিট নিশ্চিত করতে তারাও বেশ আশাবাদী।
গত ২ আগস্ট লাওসে পৌঁছে কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দলের ২৩ সদস্যের সবাই সুস্থ আছেন এবং কোনো চোটের সমস্যা নেই। বর্তমানে এখানকার আবহাওয়া অনেকটা বাংলাদেশের মতোই বলে জানা গেছে।
এইচ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সরাসরি মূল পর্বে ওঠার। এমনকি দ্বিতীয় হলেও আশা টিকে থাকবে।
আটটি গ্রুপের সেরা আট দলের সঙ্গে সেরা তিন গ্রুপ রানার্স-আপ দলও আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
এই সুযোগটা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ দল। ঢাকা ছাড়ার সময় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেছিলেন, আমরা এখানে এসেছি এএফসি কাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলতে পারি। গতকালও একই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তবে কোচ পিটার বাটলারের কাছে এই টুর্নামেন্ট কেবল জয়-পরাজয়ের হিসাব নয়, বরং দলের অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক।
তার মতে, ফলাফলের দিক থেকে শুধু নয়, এই টুর্নামেন্টটি আমাদের জন্য সব দিক দিয়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে, কারণ এটি আমাদের উন্নয়নের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।
লাওসের সঙ্গে বাংলাদেশের সিনিয়র বা বয়সভিত্তিক দলের এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। র্যাঙ্কিংয়ে লাওস (১০৭) বাংলাদেশের (১২৮) চেয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকলেও, কোচ পিটার বাটলারের কাছে এটা কেবলই একটি সংখ্যা।
তিনি বলেন, তাদের র্যাঙ্কিং নিয়ে আমাদের ভাবার দরকার নেই। এটা একটা সংখ্যামাত্র। আমাদের দরকার ম্যাচে প্রভাব ফেলা।
64121]
কোচের এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক সাফল্য। গত জুলাইয়ে সিনিয়র দল তাদের থেকে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন এবং ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
সেই সফল দলের ৯ জন খেলোয়াড় এবার অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলছেন।