ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ফিফা পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সমস্যা, আদালতের পথে প্রার্থীরা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
ফিফার কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

অনলাইন ফুটবল এজেন্ট পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে পরীক্ষা শেষ করতে ব্যর্থ হওয়া প্রায় ৪০ জন প্রার্থী এবার তাদের মামলা নিয়ে ক্রীড়া সালিশি আদালতে (সিএএস) যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তারা অভিযোগ করেছেন, পরীক্ষার সময় বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তাদের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে এবং ফিফা এই সমস্যার সমাধান না করে উল্টো তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

গত ১৮ জুন প্রথমবারের মতো নতুন বৈশ্বিক অনলাইন ফুটবল এজেন্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রার্থীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

অনেকে সময়মতো প্রশ্ন দেখতে পাননি, আবার অনেকের দেওয়া উত্তর সঠিকভাবে রেকর্ড হয়নি। কিছু প্রার্থীকে ৩০ জুন পুনঃপরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হলেও, অনেকেই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এবং তাদের বলা হয়েছে যে, আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগও দেওয়া হয়নি।

ভুক্তভোগী প্রার্থীদের একটি দল গত মাসে ফিফার সাধারণ সচিবালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে তারা অভিযোগ করে যে, ফিফার এই পদক্ষেপ নিয়ম প্রয়োগে ‘মূল ও স্পষ্ট ত্রুটি’ প্রদর্শন করে, যা বিশ্বের হাজার হাজার প্রার্থীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীরা গুরুতর প্রযুক্তিগত ও প্রক্রিয়াগত অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছেন, যা পরীক্ষার ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা এবং বৈধতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এমনকি কিছু প্রশ্ন ভুল বা বিভ্রান্তিকর ছিল এবং একাধিক সঠিক উত্তরকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রার্থীরা ফিফার কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন এবং তাদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল না করার অনুরোধ করেছিলেন।

কিন্তু ফিফা জানিয়েছে যে, তারা সব অভিযোগ মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা করেছে এবং সমস্যাটি ইতিমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে। তবে এর বেশি কোনো সাড়া তারা দেয়নি।

ফিফার এই জবাবে অসন্তুষ্ট হয়ে প্রার্থীরা এখন সিএএসে (CAS) তাদের মামলা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা চাইছেন, আগামী বছরের নির্ধারিত তারিখের আগেই তাদের পুনঃপরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হোক।

ফিফা অবশ্য এই অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তারা দাবি করেছে যে, পরীক্ষার প্ল্যাটফর্মে কোনো সমস্যা ছিল না এবং অধিকাংশ প্রার্থী কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যা ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন।