বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম

ত্রিশ বছর ধরে মাছই খান না মৎস্যমন্ত্রী

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম

ত্রিশ বছর ধরে মাছই খান না মৎস্যমন্ত্রী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী- ছবি: সংগৃহীত

শুনলে অবাকই লাগবে। তবে ঘটনা সত্য।

মাছ নিয়েই যার কারবার, সেই তিনিই ৩০ বছর ধরে মুখে তোলেন না মাছ।

তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী।

শুধু তাই নয়, তিনি খান না মাংস ডিমও। এমকি পেঁয়াজ-রসুনও।

তবে দফতর চালান নিষ্ঠার সঙ্গে। জানেন মাছ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল বিষয়ও।

 

মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব পাঁশকুড়া কেন্দ্রের বিধায়কও বটে।

মূলত তার বাবা খগেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি মাছ-মাংস-ডিম খান না।

তবে এক সময় মাছ না খেলে রাতে তার ঘুম ধরত না। তার বাবা খগেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী পুলিশে চাকরি করতেন।

তিনিও মৎস্যপ্রেমী ছিলেন। তবে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে নিজে মাছ খাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রী।

তার এই সিদ্ধান্তে মা আপত্তি জানিয়েছিলেন, তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন বিপ্লব বাবু।

২০২২ সালে মৎস্য দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আগে এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি।

তারআগে এই দফতর দীর্ঘদিন ধরে সামলেছেন বাম আমলে মুগবেড়িয়ার বিধায়ক কিরণময় নন্দ। তারা মাছ খেলেও বিপ্লব বাবু বিপরীতে হেঁটে চলেছেন।

মৎস্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মাছ না খাওয়া নিয়ে প্রথম দিকে অনেকে মজা করতেন, তবে মাছ না খেলেও দফতর সামলাতে কোনও রকম তো অসুবিধা হচ্ছে না। এক সময় তো খেতাম, এখন না হয় শাক-সবজি খেয়েই কাটাচ্ছি।’

মন্ত্রীর কথায়, ‘মনে আছে বাবা মাঝে মাঝে কচ্ছপের ডিম নিয়ে আসতেন। বড়োই সুস্বাদু লাগত। তবে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই মাছ-মাংস-ডিম খাই না।’

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বাবা প্রয়াত হওয়ার পর গয়ায় পিন্ড দান করার সময় পুরোহিত জানতে চান ছেলের কোন প্রিয় জিনিস বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে আপনি ছাড়বেন । সেসময় হয়তো বিপ্লব বাবু নিজের মাছ খাওয়াকে ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন এবং সেই সিদ্ধান্তই সমানে চলেছে।

আরবি/ফিজ

Link copied!