ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার দুটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে পাকিস্তানি হ্যাকররা। এবং প্রতিষ্ঠান দুটির স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
সোমবার (৫ মে) এক্স হ্যান্ডেলে এ দাবি করেছে হ্যাকার গ্রুপ ‘পাকিস্তান সাইবার ফোর্স’। যদিও তাদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠান ‘মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস’ (এমইএস) ও ‘মনোহর পর্রিকর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ় অ্যান্ড অ্যানালিসিসের’ ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে পাকিস্তানের একটি হ্যাকার গ্রুপ।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য হ্যাকাররা ওয়েবসাইটে ‘লগ-ইন’ করে হাতিয়ে নিয়েছে। সামরিক স্পর্শকাতর এসব তথ্য বেহাত হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়তে পারে ভারত। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে ইতোমধ্যে ‘কৌশলগত সংঘাতে’ জড়িয়েছে ভারত।
এএনআই আরও জানিয়েছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি মালিকানাধীন সংস্থা ‘আরমার্ড ভেহিকল নিগম লিমিটেড’-এর ওয়েবসাইটও হ্যাক করার চেষ্টা হয়েছে।
ওই ওয়েবসাইটটি বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডলে বিকৃত ওয়েবসাইটটির ছবিও পোস্ট করেছে ‘পাকিস্তানি সাইবার ফোর্স’। সেখানে একটি পাকিস্তানি পতাকা ও একটি সামরিক ট্যাঙ্কের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই ঘটনার পর ‘আরমার্ড ভেহিকল নিগম লিমিটেড’-এর সরকারি ওয়েবসাইটটি আপাতত ‘অফলাইন’ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটটি বিকৃত করার চেষ্টার সময় সেটিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্যই সাময়িকভাবে ওয়েবসাইটটি ‘অফলাইন’ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা ১১ রাত ধরে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পারমাণবিক দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের উপর্যুপরি সাইবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপগুলো।
এতে করে দেশটির সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নেবাণে জর্জরিত খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, নাটক-সিনেমাতে দুর্বার সাইবার সক্ষমতার জানান দিলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই।
তবে এএনআই’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি ‘ইন্টারনেট অব খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম বার বার উঠে এসেছে। অন্তত চারটি এমন ঘটনা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিবারই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে হ্যাক বা হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরিষেবা ব্যাহত করা ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েও নিয়েছে হ্যাকাররা।
আপনার মতামত লিখুন :