ভারতের শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চন্ডিগড়সহ ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে নিশানা বানিয়ে পাকিস্তানের হামলাচেষ্টার জবাবে লাহোরসহ একাধিক স্থানে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তান যেভাবে হামলা চালিয়েছে, ভারতীয় বাহিনীর প্রতিক্রিয়াও ছিল ‘একই ধরনের, একই মাত্রার’।
ভারত দাবি করেছে, হামলাচেষ্টায় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিস্ক্রিয় করে দিয়েছে।
নয়া দিল্লি আরও জানিয়েছে, ভূপাতিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এর আগে পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছিল, তারা ভারতের ২৫টি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। ড্রোনগুলো ইসরায়েলের তৈরি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম।
তবে ভারতের অন্য একটি ড্রোন সামরিক লক্ষ্যস্থলে আংশিক আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এতে ৪ সেনা সদস্য আহত হওয়ার কথাও স্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
সিন্ধুর মিয়ানো আরেক ড্রোনের হামলায় এক বেসামরিক নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ চৌধুরি।
বুধবার (৭ মে) ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা হামলা নিয়ে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে দাবি করেছেন, তাদের হামলা ছিল কেবলই সন্ত্রাসীদের স্থাপনা লক্ষ্য করে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনো স্থাপনা লক্ষ্য করে নয়।
তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদ বলছে, ভারতের বুধবারের হামলা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। এ হামলার ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়া হবে।