ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

ক্ষেপণাস্ত্র চালাল উত্তর কোরিয়া

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
উত্তর কোরিয়ার রকেট লঞ্চের মহড়ার তত্ত্বাবধান করেন কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, উত্তর কোরিয়া আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। পারমাণবিক হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে এই পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ।

উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন-এর নেতৃত্বে এই সামরিক মহড়ায় বড় একটি রকেট এবং স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। কেসিএনএ জানায়, মহড়াটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রতিরক্ষা এবং জবাবদানে প্রস্তুতির প্রমাণ সরবরাহ করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করেছে, সেগুলো রাশিয়ায় রপ্তানির জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এই খবরটি উত্তেজনা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে, কারণ উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে একে অপরকে প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করছে।

কিম জং উনের গোলাবারুদ কারখানা পরিদর্শন

সপ্তাহের শুরুতে, কিম জং উন একটি গোলাবারুদ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, গত কয়েক মাসে গোলা তৈরির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা সামরিক প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা

উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার সক্ষমতাসম্পন্ন একটি যুদ্ধজাহাজ উন্মোচন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে, এই জাহাজ তৈরিতে রাশিয়ার প্রযুক্তি এবং অর্থ সহায়তা রয়েছে। এর বদলে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সম্পর্কের আরও গভীরতা প্রকাশ করেছে।

নতুন সড়ক সেতুর নির্মাণ

এছাড়া, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, যা তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া নিয়মিতভাবে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে, যা উত্তর কোরিয়া বারবার নিজেদের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে উল্লেখ করেছে। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, এই মহড়া তাদের জন্য একটি বড় হুমকি এবং তারা নিজেদের পারমাণবিক শক্তি দিয়ে এর জবাব দিতে প্রস্তুত।

যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে অতিরিক্ত বিমানবাহী জাহাজ এবং পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছে, যাতে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।