ঢাকা শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা প্রথম পাকিস্তানি নারী

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫, ০৮:৫১ এএম
পাকিস্তানের আকাশরানী স্কোয়াডন লিডার আয়েশা ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের আকাশে যখন যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল, তখন এক নারীর সাহসিকতা ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছিল। স্কোয়াডন লিডার আয়েশা ফারুক, পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের প্রথম যুদ্ধ-প্রস্তুত নারী পাইলট, শত্রুর রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেশের আকাশরানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের আকাশ সীমান্তে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন রানার সিগনালে জ্বলছিল লালবাতি। ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশ করতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হাই এলার্ট জারি হয়ে যায়, এবং সারা দেশ নিঃশ্বাস ধরে অপেক্ষা করতে থাকে।

Pakistan‍‍`s only female fighter pilot becomes role model for millions of  girls

এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে ককপিটে ছিলেন পাকিস্তানের আকাশরানী, স্কোয়াডন লিডার আয়েশা। ঠান্ডা মাথায় স্ক্রীনে চোখ রেখে, নিখুঁত নিশানা মেরে তিনি কমান্ডো লক অন টার্গেট করে দেন। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানটি পাকিস্তানের আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে।

আয়েশার এই সাহসী পদক্ষেপে ভারতের আধিপত্যের স্বপ্ন থেমে যায়, এবং পাকিস্তানের আকাশে তার সাফল্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে।

স্কোয়াডন লিডার আয়েশা ফারুক পাকিস্তানের প্রথম নারী যুদ্ধবিমানচালক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম নারী হিসেবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমতি লাভ করেন, যা ছিল দেশটির সামরিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।

শৈশব ও সংগ্রামের শুরু

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর শহরে জন্ম নেওয়া আয়েশা ছোটবেলা থেকেই সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বপ্নবাজ ছিলেন। তিনি সবসময় প্রচলিত সমাজব্যবস্থার গণ্ডি ভেঙে নতুন কিছু করতে চেয়েছেন। পরিবার তার এই স্বপ্নে তার পাশেই ছিল। বিশেষ করে তার মা তাকে সবসময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বলেই জানান আয়েশা ।

Pakistan‍‍`s female top gun | The Wider Image | Reuters

প্রশিক্ষণ ও উড্ডয়ন

পাকিস্তানের বিমানবাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি শুরু হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু আয়েশা ফারুক প্রথম নারী যিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত যুদ্ধবিমান চালানোর যোগ্যতা অর্জন করেন। তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং উচ্চগতির যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দেখিয়ে দেন, নারীরাও যুদ্ধে সমানভাবে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিতে পারে।

সাহসিকতা ও অনুপ্রেরণা

আয়েশা শুধু একজন নারী পাইলট নন, তিনি দেশের নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি সমাজে নারীর অবস্থানকে শক্তিশালী করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন, সঠিক মনোবল থাকলে নারীরাও আকাশ ছুঁতে পারে। তার এই সাহসিকতা নতুন প্রজন্মের নারীদের উদ্বুদ্ধ করেছে।

Pakistan‍‍`s female top gun | The Wider Image | Reuters

স্কোয়াডন লিডার আয়েশা ফারুক এমন একজন নারী যিনি সাহস, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে সমাজে নারীর অবস্থান নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি শুধু আকাশ জয় করেননি, জয় করেছেন লক্ষ লক্ষ নারীর মনও।