সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা যেন চলাচল করতে না পারে সে কারণে ভারত ও নেপালের আন্তর্জাতিক সীমান্তে যৌথভাবে টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চলে এই যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে পাকিস্তানও তাদের সীমান্ত টহল জোরদার করেছে। এতে করে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তিন দেশের সীমান্ত এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেপাল এবং ভারত দুই দেশের বাহিনী ‘নো-ম্যানস ল্যান্ড’ অঞ্চলের ঘন বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালায়। ভারত ও নেপালের মধ্যে ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
এসএসবির কমান্ড্যান্ট গঙ্গা সিং ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, যৌথ টহলের সময় নেপালের সেনারাও আমাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্ত। নেপালি বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। প্রতি মাসে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় সভা হয়। গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা একে অন্যকে সহায়তা করছি, যাতে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা যায়।
তিনি আরও জানান, নেপালের নেপালগঞ্জ এলাকায় একটি ইসলামিক সংগঠন ‘মারকাজ’ রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানিরা বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসে।
গঙ্গা সিং বলেন, যদি কিছু অস্বাভাবিক ঘটে, তাহলে ওরা আমাদের জানায়।
তিনি জানান, ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে নজরদারির জন্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছে এবং যেকোনো ধরনের সঙ্কট মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত, তাদের হাতে রয়েছে ইনসাস রাইফেল।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে নেপাল
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে নেপাল সরকার স্পষ্ট ভাষায় ভারতের পাশে অবস্থানের কথা জানিয়েছে। নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেপাল সবসময় একজোট। নীতিগত অবস্থান অনুযায়ী, নেপালের ভূখণ্ড কোনো প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নেপালি সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে বারবার সন্ত্রাসবিরোধী স্পষ্ট অবস্থানের দাবি উঠছে। এর আগে, ভারত পাকিস্তানের ভেতরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ঘাঁটির ওপর ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন।