মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলা বন্ধ করার অনুরোধ করা তার পক্ষে কঠিন হবে। যদিও তিনি সংঘাতের অবসানের জন্য কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার (২০ জুন) নিউ জার্সিতে তার গলফ কোর্সে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইউরোপীয় কূটনীতিকরা যেমনটি বারবার বলছেন, তিনি কি চান না যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ দিক, যেন তারা ইরানের ওপর বিমান হামলা বন্ধ করে, যাতে আলোচনার একটি সুযোগ তৈরি হয়?
জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, কেউ যদি জিততে পারে, তাহলে এখনই সেই অনুরোধ করা খুবই কঠিন। কেউ যদি হেরে যায়, তার চেয়ে এটা করা একটু কঠিন। তবে আমরা প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। এবং আমরা ইরানের সঙ্গে কথা বলছি। দেখা যাক, কী হয়।’
ট্রাম্প একটু পরে পুনরাবৃত্তি করেন, ইসরায়েলের এখন পর্যন্ত সামরিক সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি কঠিন অনুরোধ হবে।
তিনি বলেন, ‘এটা থামানো খুব কঠিন, কারণ যুদ্ধের দিক থেকে ইসরায়েল এখন ভালো অবস্থায় আছে। ইরান তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। তাই কাউকে থামানো একটু কঠিন।’
ট্রাম্প ইউরোপের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, তারা এই সংঘাত থামাতে কোনো কাজে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘তারা কোনো সাহায্য করেনি। ইরান ইউরোপের সঙ্গে কথা বলতে চায় না, তারা চায় আমাদের সঙ্গে কথা বলতে। এই বিষয়ে ইউরোপ কিছু করতে পারবে না।’
এর আগে, গত ১৩ জুন ইসরায়েল অতর্কিতভাবে ইরানের রাজধানীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ রব তৈরি হয়। পাল্টা জবাব দেয় ইরানও। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত ঘোলাটে হতে থাকে। এর মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ইরানের পাল্টা হামলায় ব্যর্থ হয়ে যায় ইসরায়েলের গর্বের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। নাস্তানাবুদ তেল আবিব সাহায্য চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে সরাসরি ইরানের বিপক্ষে অবস্থান নেবে কি না, সে নিয়ে কড়া হিসাব-নিকাশ চলে হোয়াইট হাউসে।
নিজেদের নিরপেক্ষ বা পক্ষপাতিত্বের অবস্থান নিয়ে দোলাচলে ভোগা ট্রাম্প সিদ্ধান্ত জানাতে আরও দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। কিন্তু সময়ের কাউন্টডাউন শুরু হতেই ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফেরা এই রিপাবলিকান নেতা।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা ও সিএনএন।