এখনো অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি রয়েছে। আজ রাতের লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে কঠিন এবং সবচেয়ে বৈধ। যদি দ্রুত শান্তি না আসে, তাহলে আমরা ইরানের সেই লক্ষ্যবস্তুগুলোতেও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে আঘাত করব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হয় শান্তি স্থাপন হবে, না হয় ইরানের জন্য এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটবে। গত আট দিনে যা ঘটেছে, তার চেয়েও ভয়াবহ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা এমন একটি দল হিসেবে কাজ করেছি, যেমনটি সম্ভবত এর আগে কখনো কেউ করেনি। আমরা ইসরায়েলের জন্য ভয়াবহ হুমকি মুছে ফেলার পথে অনেক দূর এগিয়েছি।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৬টায় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি জানান, ‘ফোর্ডো, নাতানজ এবং ইসফাহান’ কেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারী সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে অত্যন্ত সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফোর্ডো কেন্দ্রেও বোমা ফেলা হয়েছে। এখন বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।’
পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ওয়াশিংটনের ভাষ্যমতে, এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে বি-২ স্টেলথ বোমার, যেগুলো ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা বহনে সক্ষম। এ ধরনের বোমা ভূগর্ভস্থ কংক্রিট স্তর ভেদ করে গভীরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :