রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম

আধুনিক পৃথিবীর নতুন ভয়, কোকেনের রেকর্ড উৎপাদন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম

চোখ রাঙাচ্ছে কোকেন। ছবি- সংগৃহীত

চোখ রাঙাচ্ছে কোকেন। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী কোকেন উৎপাদন ২০২৩ সালে সর্বকালের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি)। একইসঙ্গে মাদকের ব্যবহার, জব্দ ও সংশ্লিষ্ট মৃত্যু বৃদ্ধির দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাটি।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে আনুমানিক ৩৭০৮ টন কোকেন উৎপাদিত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে কলম্বিয়ায় কোকা চাষের বিস্তার এবং উচ্চ ফলনকে দায়ী করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোকেন এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল অবৈধ মাদক বাজারে পরিণত হয়েছে। কোকেন ব্যবহারের হারও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ কোকেন সেবন করেছে, যেখানে ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা এখনো কোকেন ব্যবহার ও সরবরাহের শীর্ষস্থানে রয়েছে।

বিশেষভাবে পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপে কোকেন জব্দের হার টানা পঞ্চম বছর উত্তর আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে কোকেন জব্দ ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মদ ও তামাক বাদে ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রায় ৩১৬ মিলিয়ন মানুষ অবৈধ মাদক ব্যবহার করেছে, যা ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার ৬ শতাংশ। ২০১৩ সালে এই হার ছিল ৫.২ শতাংশ।

এই প্রবণতা স্বাস্থ্য খাতেও বড় প্রভাব ফেলছে। প্রতিবছর অবৈধ মাদকজনিত কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা যায় এবং ২ কোটি ৮০ লাখ সুস্থ বছরের জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, এই ধরণের আসক্তিতে আক্রান্ত প্রতি ১২ জনের মধ্যে মাত্র একজন চিকিৎসা সেবা পান।

 

প্রতিবেদন প্রকাশের সময় ইউএনওডিসি’র নির্বাহী পরিচালক ঘদা ওয়ালি বলেন, ‘আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং কার্যকর বিচারিক কাঠামো ছাড়া এই বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলা সম্ভব নয়। অপরাধমূলক চক্র ভেঙে দিতে এসব ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে।’

Link copied!