যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সদ্য পাস হওয়া বিশাল করছাড় ও ব্যয়সংকোচন বিল নিয়ে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক কৌশলের লড়াই।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—দুই শিবিরই এই আইনকে ঘিরে নিজেদের অবস্থান জনগণের সামনে তুলে ধরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
রিপাবলিকানদের পেশ করা এই বিলটিতে স্থায়ীভাবে করছাড় দেওয়া হয়েছে করপোরেট ও ব্যবসায়িক খাতে। যার মাধ্যমে অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনার আশা করছেন তারা।
তবে একইসঙ্গে এই বাজেটে মেডিকেইড (স্বাস্থ্যসেবা) ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির খাতে বড় ধরনের কাটছাঁট করা হয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছে ডেমোক্র্যাটরা।
পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্রেট প্রতিনিধি ব্রেন্ডান বয়েল বলেন, এই ভোট দিয়ে কিছু হাউস রিপাবলিকান আজ সকালেই তাদের রাজনৈতিক মৃত্যুপরোয়ানায় স্বাক্ষর করছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আত্মবলিদান দিচ্ছেন—এটা একরকম রাজনৈতিক প্ল্যাঙ্কে হাঁটার মতো ব্যাপার।
ডেমোক্র্যাটদের মতে, গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সহায়তা কেটে দিয়ে ধনীদের কর ছাড় দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের বিপদে ফেলবে।
তারা আশা করছেন, এই ইস্যুতে জনগণের সমর্থন নিয়ে অন্তত একটি কংগ্রেস কক্ষ পুনর্দখল করতে পারবেন।
অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা বলছেন, এই বিল মার্কিন জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে আনবে—চাকরি বৃদ্ধি, মজুরি বাড়া এবং খাদ্য ও জ্বালানির দাম কমবে।
হাউস মেজরিটি লিডার স্টিভ স্কালিস বলেন, আমেরিকান জনগণ এই বিলের সুফল নিজের চোখে দেখবে এবং বুঝবে কোন দল তাদের জন্য সত্যিকার অর্থে লড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রায়শই ক্ষমতাসীন দলের জন্য বিপজ্জনক সময় হিসেবে বিবেচিত। তাই বাইডেন প্রশাসনের অধীনে থাকা ডেমোক্র্যাটরা আশা করছেন, এই নতুন অর্থনৈতিক বিল তাদের জন্য একটি কার্যকর প্রচার অস্ত্র হয়ে উঠবে।




সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন