ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির ছাই ও লাভার মেঘের কারণে ফ্লাইট বাতিল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
পূর্ব ফ্লোরসে অগ্ন্যুৎপাতের সময় মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি থেকে আগ্নেয়গিরির পদার্থ নির্গত হচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ-মধ্য ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপে মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ব্যাপক ছাই ও লাভার মেঘ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পরপর দুই দিন ধরে চলা এই অগ্ন্যুৎপাতে আকাশে বিশাল ছাইয়ের স্তম্ভ উঠেছে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করেছে এবং জনজীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোরে দ্বিতীয় দিনের মতো অগ্ন্যুৎপাত ঘটে।

স্থানীয়রা বলেন, এ ছাইয়ের মেঘ প্রায় ৪ কিলোমিটার (২.৪ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে শুরু হওয়া প্রথম অগ্ন্যুৎপাতের সময় ধ্বংসাবশেষ ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) পর্যন্ত বাতাসে উঠে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানান, আগ্নেয়গিরির ছাই আশেপাশের গ্রামগুলোতে পুরু কাদা ও ছাইয়ের স্তর সৃষ্টি করেছে, এর ফলে ওইসব এলাকার রাস্তা ও ধানক্ষেত ঢেকে ছাইয়ে ঢেকে ফেলেছে।

দেশটির এক তথ্য কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, ‘সালফার এবং ছাইয়ের গন্ধ বাতাসে এতটাই ঘন ছিল যে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।’

তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে, দৃষ্টিসীমা হ্রাস পাওয়ায় ড্রাইভিং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আহত বা মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাই ও নুড়িপাথরের বৃষ্টির মধ্যে মানুষজন আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে। বিশাল মাশরুম আকৃতির ছাইয়ের মেঘ গোটা এলাকাকে ঢেকে ফেলেছে, যার ফলে পরিবহণ এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।