তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর একটি বিশাল বাঁধ (সুপার ড্যাম) তৈরি করছে চীন। চীনের সুপার ড্যাম শুধু একটি অবকাঠামো প্রকল্প নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে জলসম্পদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের কৌশল। যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের থেকেও শক্তিশালী। ইতিমধ্যে এর পরিবেশগত, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তাগত প্রভাবের শঙ্কা দেখা দিয়েছে ভারতে।
ভারতের উদ্বেগের কারণ কী?
জলপ্রবাহে নিয়ন্ত্রণ
চীন যদি এই ড্যামের মাধ্যমে নদীর জল আটকে রাখে, তাহলে ভারতে (বিশেষত অরুণাচল প্রদেশ, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ) জলসংকট দেখা দিতে পারে। আবার হঠাৎ করে জল ছেড়ে দিলে বন্যার ঝুঁকি বাড়ে।
ভূ-রাজনৈতিক চাপ
ইয়ারলুং সাংপো একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। চীন যদি একতরফাভাবে জল নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে এটি জল সম্পদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরি করে। বিশেষ করে সীমান্ত বিরোধের সময়।
পরিবেশগত ঝুঁকি
হিমালয়ের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় সুপার ড্যাম নির্মাণ ভূমিকম্প বা ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হলে জৈববৈচিত্র্য ধ্বংস হতে পারে।
ভারত কী করছে?
ইতিমধ্যে ভারত নদী কূটনীতি জোরদার করতে চাইছে এবং তিব্বতের জলসম্পদ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তুলছে। অরুণাচলে নিজস্ব ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পও শুরু করেছে ভারতে, যাতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো যায়।