ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের চোশিটি গ্রামে মেঘ বিস্ফোরণে ৩৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দুইশরও বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ৩০ জনকে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে সেখানে ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
গত কয়েকদিনের ঝড়ে জম্মু ও কাশ্মিরে এমনিতেই রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ, পাশাপাশি যেখানে ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে তা রাজধানী শ্রীনগর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে অঞ্চলটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকারীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জম্মু কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সেখানকার খবর মর্মান্তিক।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় সব সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জম্মু কাশ্মিরে প্রতি বছর কিসওয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানের বার্ষিক যাত্রা হয়। এই তীর্থস্থানে যেতে চাশোটি হয়ে যেতে হয়। চাশোটি হলো তীর্থস্থানে যাত্রা শুরুর স্থান। অঞ্চলটি বেশ দুর্গম। এই চাশোটি গ্রামের পর আর গাড়ি যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। মেঘ বিস্ফোরণে আকস্মিক বন্যার কারণে এবারের বার্ষিক যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা।
এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশটির উত্তরাখণ্ডের হিমালয় শহর ধারালিতে মেঘ বিস্ফোরণে একইরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানে অন্তত ৭০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হয়। যদিও দেশটির সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানায়নি।
মেঘ বিস্ফোরণ আসলে কী?
মেঘ বিস্ফোরণের ইংরেজি শব্দ ‘ক্লাউড ব্রাস্ট’। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত কোনো জায়গায় হঠাৎ ভারী মেঘ জমে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে সেটিকে ‘মেঘ বিস্ফোরণ’বলা হয়। মেঘ বিস্ফোরণ হলে আক্রান্ত স্থানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। যেটির পানি নিম্নাঞ্চলের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন