রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম

গাজাজুড়ে তীব্র ক্ষুধা-অপুষ্টি, মৃত্যুঝুঁকিতে সোয়া ৩ লাখ শিশু

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম

গাজার ত্রাণকেন্দ্রে  ভিড় করছে ক্ষুধার্ত শিশুরা। ছবি- সংগৃহীত

গাজার ত্রাণকেন্দ্রে ভিড় করছে ক্ষুধার্ত শিশুরা। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ, অবরোধ ও খাদ্যসংকট মিলিয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় চলছে। অনাহার ও অপুষ্টি গাজাকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করছে, বিশেষত গাজার শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে অবরোধ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এত শিশুদের চিকিৎসা করতে কমপক্ষে ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রয়োজন। কিন্তু খাদ্য ও চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সাহায্য গাজায় পৌঁছাতে না দেওয়ায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এটিকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছে।

গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, শুধু শিশু নয়, আহত ও অসুস্থ গাজাবাসীদের অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছেন। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের শিশু হাসপাতালের পরিচালক আহমদ আল-ফারা বলেন, তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ১২০ জন শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার। তিনি সতর্ক করেছেন, এই শিশুদের সারাজীবন এর মাশুল দিতে হবে।

শুক্রবার প্রকাশিত দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (IPC)–এর প্রতিবেদনে গাজা নগর প্রশাসনিক অঞ্চল ও আশপাশে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৫ লাখ ১৪ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে, আর পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসেও শিগগির দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। গত দুই বছরে গাজায় অপুষ্টিতে মারা গেছে অন্তত ২৮১ জন, যাদের মধ্যে ১১৪ শিশু।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজার দুর্ভিক্ষকে ‘মানবতার ব্যর্থতা’ এবং ‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেছেন, এটি ইসরায়েল সরকারের কর্মকাণ্ডের সরাসরি ফল। ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি ইসরায়েলকে দুর্ভিক্ষ অস্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মানবিক কার্যক্রম বিভাগের টম ফ্লেচার বলেছেন, ‘এই দুর্ভিক্ষ পুরোপুরি ঠেকানো যেত, কিন্তু ইসরায়েলের বাধায় গাজায় খাদ্য পৌঁছানো যায়নি।’

মিসর সীমান্তে হাজারো ত্রাণবাহী ট্রাক কয়েক মাস ধরে অপেক্ষমাণ। ইসরায়েলের অবরোধে সেগুলো গাজায় ঢুকতে পারছে না। মে মাস থেকে কিছু ট্রাক প্রবেশ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এই সময় নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ভেল্ডক্যাম্প ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারের প্রস্তাব সমর্থন না পাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা শাহেদ ঘোরেইশিকে বরখাস্তকে করা হয়েছে গাজা বিষয়ে ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৬৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২২ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে। মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ১০০ জনে। এদের অন্তত ১ হাজার জন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF)–এর ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে প্রাণ হারিয়েছেন।

এ ছাড়া গাজায় শনিবার অনাহারে ২ শিশুসহ মারা গেছে অন্তত ৮ জন। এ নিয়ে খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮১ জনে। ২০২৩ সাল থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৬২২ জনে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!