স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের গাজা শহর দখলের অভিযানে সেনা সংকটে পড়েছে ‘ইসরায়েল’। প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে সৈন্যরা হয়ে পড়েছেন ক্লান্ত। ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ সেনা সদস্য যুদ্ধ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা শহর দখলের প্রাথমিক ধাপের কার্যক্রম চালাচ্ছে ‘ইসরায়েল’। আক্রমণ জোরদারে সেপ্টেম্বরে শহরটিতে আরও ৬০ হাজার রির্জাভ সেনা মোতায়েন করা হবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের অনুমোদন দেওয়ার সময় অনুমান করা হয়েছিল, এই অভিযান বাস্তবায়নে অন্তত পাঁচ মাস লাগতে পারে। কিন্তু গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাদের সময়সীমা কমানোর নির্দেশ দেন।
‘ইসরায়েলি’ সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান ইয়াল জামির সতর্ক করেছেন, সেনাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো ঠিক হবে না।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই অনেক সৈন্য একাধিকবার গাজায় যুদ্ধের জন্য ডাকা হয়েছে এবং ২ বছরেরও বেশি চলা যুদ্ধে তারা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও ক্লান্তির সম্মুখীন। তবে নেতানিয়াহু ও তার জোটের অংশীদাররা নতুন যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং জামিরের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়েছে।
জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের প্রায় ৪০ শতাংশ সেনা যুদ্ধ করতে কম উৎসাহী। কেবল ১৩ শতাংশ সেনাই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ‘অতি উৎসাহী’ হিসেবে নিজেদের দেখিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কঠোর বাস্তবতার সম্মুখীন এবং জনবল সীমিত হতে পারে। জরিপে আরও দেখা গেছে, দেশের বড় অংশই যুদ্ধ সমাপ্তির পক্ষে রয়েছে।
জনবল সংকট মোকাবিলায় সামরিক কর্মকর্তারা অনুরোধ করছেন, অতি-ডানপন্থী ধর্মীয় শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে যোগদান করানো হোক। তবে ধর্মীয় শিক্ষার্থীদের যোগদান নিয়ে অতি-ডানপন্থী দলগুলো ইতোমধ্যেই সরকার থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি রয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন