ভারতের তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ। বিভিন্ন দ্রাবিড়পন্থি রাজনৈতিক নেতা, চলচ্চিত্র তারকা ও ইসলামপন্থি সংগঠনের নেতা এই কর্মসূচির আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
ভারতের তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ, যেখানে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে একত্রিত হন দ্রাবিড়বাদী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, ইসলামপন্থি সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতারা। প্রায় ৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই সমাবেশে ইসরায়েলের ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় নিন্দা জানান বক্তারা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচ্চির প্রধান থোল. তিরুমাভালাভান, এমএইচএম সভাপতি জওহিরুল্লাহ, এসডিপিআই নেতা দেহলান বাকাভি, বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মী তিরুমুরুগান গান্ধী এবং চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সত্যরাজ, প্রকাশ রাজ, আমির ও ভেত্রিমারন। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব হন এবং গাজার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানান।
সমাবেশে অভিনেতা প্রকাশ রাজ বলেন, ‘এই সংকট শুধু ইসরায়েলের নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতারাও দায়ী। কারণ তারা নীরব থেকেছেন, তাই তারাও দায়ী।’
তিনি শিল্পীদের প্রতিবাদের দায়িত্বের কথাও তুলে ধরে বলেন, ‘গাজায় যা হচ্ছে তা একটি পরিকল্পিত গণহত্যা। শিশুদের মরতে দেখে যারা বোমা ফেলে, তারা মানুষ নয়, তারা বিবর্তনের মাঝপথে থেমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানবতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া সবার কর্তব্য, ধর্ম বা জাতির প্রশ্ন নয়।’
সমাবেশে পরিচালক ভেত্রিমারন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে শতাব্দীব্যাপী এক পরিকল্পিত গণহত্যা চলছে। স্কুল, হাসপাতাল, জলপাই বাগান—সবকিছু লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। গাজাকে দুর্ভিক্ষপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাচ্চারা অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে। এই নিরবচ্ছিন্ন সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর তোলা উচিত।’
সমাবেশে দ্রাবিড় কাজগম প্রধান কে. বীরামণির পাঠানো নিন্দাবার্তা পাঠ করে শোনান অভিনেতা সত্যরাজ, যেখানে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, এটি কোনো ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি মানবতার পক্ষে একটি সভা।