ঢাকা শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫

জাতিসংঘের উদ্বেগ

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শেষে নতুন দুঃস্বপ্ন; বেড়েছে অপহরণ ও গুম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০২:৪৬ এএম

সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তনের পরও থামেনি অপহরণ ও নিখোঁজের ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য রেকর্ড করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। সংস্থাটি বলছে, নতুন করে জোরপূর্বক গুমের ঘটনাও ঘটছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওএইচসিএইচআর-এর মুখপাত্র থামিন আল-কিতান বলেন, সিরিয়ায় আগের সরকার পতনের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও দেশটিতে এখনও উদ্বেগজনক সংখ্যক অপহরণ ও গুমের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জাতিসংঘের হিসাবে, জানুয়ারি থেকে অন্তত ৯৭ জনের অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। তবে সংস্থাটি বলছে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক পরিবার ভয় বা অনিশ্চয়তার কারণে অভিযোগ জানাতে পারছে না।

এই নিখোঁজদের সংখ্যা যুক্ত হলো সেই এক লাখেরও বেশি মানুষের সঙ্গে, যারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে হারিয়ে গিয়েছিলেন।

গত বছর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) মাত্র ১১ দিনের অভিযানে আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এতে ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। তবুও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ হয়নি বলে জানায় জাতিসংঘ।

ওএইচসিএইচআর জানায়, আসাদ সরকারের পতনের পর কিছু পরিবার নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে পেলেও অনেকেই এখনও জানে না তাদের প্রিয়জনরা জীবিত না মৃত। নিরাপত্তাহীনতা, বিশেষত উপকূলীয় এলাকা ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুয়েইদাতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় অনুসন্ধান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

মুখপাত্র আল-কিতান জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে কিছু মানুষ হুমকির মুখেও পড়েছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন ‘সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স’-এর স্বেচ্ছাসেবক হামজা আল-আমারিনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। গত ১৬ জুলাই সুয়েইদায় উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিখোঁজ হন।

জাতিসংঘ এ ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের মে মাসে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার নিখোঁজদের খোঁজ ও বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দুটি তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়। সংস্থাগুলো আসাদ পরিবারের শাসনামলে সংঘটিত অপরাধগুলো তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।