নেপালের আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজধানী কাঠমান্ডুতে টহল বাড়িয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিধিনিষেধমূলক নির্দেশ জারির পর সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে তারা। প্রয়োজনীয় সেবা—যার মধ্যে আছে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ইঞ্জিন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা—বিধিনিষেধমূলক নির্দেশের বাইরে থাকবে।
গত এক দশকের মধ্যে দেশটি সবচেয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে। কয়েক দশকের দুর্নীতি ও সেগুলোর বিচার না করা, ফেসবুক ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার জেরে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিক্ষোভকারীরা নিহত হলে একপর্যায়ে এটি সহিংসতায় রূপ নেয়। মারা যায় কমপক্ষে ২০ বিক্ষোভকারী, পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিক্ষোভের আড়ালে ভাঙচুর ঠেকাতে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী সতর্কতা দিয়ে বলেছে, এ সময়ে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অথবা ব্যক্তি ও সম্পত্তির ওপর হামলাকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে দেশটিতে সহিংসতা ও লুটতরাজের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ ছাড়া ধর্ষণের হুমকি ও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর হামলার ব্যাপারেও সতর্কতা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে নেপালের বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের। তাদের অভিযোগ, সুবিধাবাদীদের দ্বারা তাদের আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হয়েছে।