ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জনপ্রিয় ২ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে চীনের কড়াকড়ি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম
চীনা নারী সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ই-কমার্স অ্যাপ জিয়াওহংশু স্ক্রলিং করছেন। ছবি- এএফপি

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ওয়েইবো ও কুয়াইশোর বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে চীনা সরকার। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না (সিএসি) শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ সিদ্ধান্ত জানায়, যা মূলত সেলিব্রিটিদের খবর ও ‘অবাঞ্ছিত’ বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেওয়া হয়েছে।

সিএসি বলেছে, এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে সেলিব্রিটিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লঙ্ঘন সংশোধনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ, দায়ীদের সতর্কীকরণ এবং কঠোর শাস্তি প্রদান। তবে শাস্তির বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

ঘোষণাটি জিয়াওহংশুর বিরুদ্ধে নেওয়া একই পদক্ষেপের ঠিক এক সপ্তাহের পরে প্রকাশিত হলো। চীনা কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়াকে সংযমের সঙ্গে ব্যবহার করতে বাধ্য করছে এবং বিষয়বস্তুকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, যাতে ধ্বংসাত্মক, অশ্লীল বা সাধারণভাবে ক্ষতিকারক সামগ্রী সীমিত থাকে।

সিএসি ওয়েইবো ও কুয়াইশোকেই প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য সমালোচনা করেছে। বিশেষ করে উভয় প্ল্যাটফর্মে সেলিব্রিটি সম্পর্কিত সামগ্রী ও তুচ্ছ পোস্টের অতিরঞ্জিত বিস্তারের বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চায়না সাইবারস্পেস প্রশাসন ওয়েইবোকে ‘অনলাইন ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত করার’ এবং কুয়াইশোকে ‘অযৌক্তিকভাবে সেলিব্রিটি কনটেন্টের অতিরিক্ত বিস্তারে অবদান রাখার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।

ওয়েইবো হলো একটি মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা টেক্সট ও ছবি পোস্ট করার সুযোগ পায়। সাধারণত চলমান ঘটনা বা সংবাদকে কেন্দ্র করে ব্যবহার করা হয় প্ল্যাটফর্মটি। গত মার্চের তথ্য অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মটির প্রতি মাসে সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৫৯১ মিলিয়ন।

অন্যদিকে, টিকটকের মতো ছোট ভিডিও অ্যাপ কুয়াইশো জানিয়েছে, তাদের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭৩ কোটি ছাড়িয়েছে। উভয় প্ল্যাটফর্ম এখনও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য প্রদান করেনি।

সিএসির এই পদক্ষেপ চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, যাতে ডিজিটাল পরিবেশে প্রভাবশালী কনটেন্ট সীমিত রাখা যায় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত, ক্ষতিকারক বা অতিরঞ্জিত সামগ্রী নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

সূত্র: সিএনএন।