রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হঠাৎ করেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পরমাণুবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা আলি লারিজানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রোববার ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সংবাদমাধ্যম দ্য মস্কো টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এ বৈঠক প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘লারিজানি মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানি পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন।’
পেসকভ আরও জানান, পুতিন এই সময় রাশিয়ার ‘সুস্পষ্ট অবস্থান’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যাতে বলা হয়েছে—‘এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও ইরানি পরমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান’ জরুরি।
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও, গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানে বিমান হামলা শুরু করলেও, মস্কো এ বিষয়ে সরাসরি ও কঠোর অবস্থান নেয়নি। তবে তেহরানের জন্য রাশিয়া এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র।
এদিকে, জার্মানির একটি কূটনৈতিক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি শিগগিরই ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে।
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, তেহরান ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পুতিন ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে উৎসাহ দিয়েছেন, যাতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা হয়। তবে এই দাবিকে রাশিয়া জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
ইরান সবসময়ই পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং বলছে, তারা শুধু শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকার চায়।