ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ভারতের পানিতে তলিয়েছে শার্শার ৫০০ একর জমি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত শার্শার ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে এ বছরও প্লাবিত হয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল। এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি।

ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, গোগা শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুরসহ ৮ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এ বছর ভারতীয় উজানের পানি ঢোকার কারণে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন চাষি জানিয়েছেন, ভারতীয় ইছামতি সংলগ্ন খাল মুখের বাঁধ কেটে রাখার কারণে বৃষ্টির পানির সাথে ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে এবং বিলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

তারা আরও জানান, ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ না করলে এসব ফসলের ক্ষতি হতো না।

চাষি জাকির হোসেন জানান, তার একবিঘা জমির পাট পানির কারণে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পাটের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এরকম অনেক চাষি আছেন, যাদের পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।

কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-আমিন জানিয়েছেন, এ বছর আগাম বর্ষণের কারণে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মতো আমনের বীজ তলা নষ্ট হয়েছে।

এ ছাড়াও ৩৫হেক্টরের মতো আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মতো পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমন ফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মতো জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

একটি সুত্র জানিয়েছেন, ইরি-বোরো চাষের মুখে চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে খাল মুখের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আর বেঁধে দেওয়া হয়নি—যার ফলে এখন চাষিদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।