রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২০ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের ‘হায়দার হল’-এ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে মুহূর্তেই ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল নিহতের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন আর আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট ও ৬টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।
অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সাইদুর রহমান নিহতের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আর জানান, ৪৮ জনের মতো রোগী বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভর্তি তালিকায় ২৮ জনের নাম রয়েছে। দগ্ধরা হলেন, শামীম ইউসুফ (১৪), মাহিন (১৫), আবিদ (১৭), রফি বড়ুয়া (২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), নাফি (), মেহেরিন (১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন (১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), মাহিয়া (), অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা (৩৮), মাহাতা (১৪), শামীম, জাকির (৫৫), নিলয় (১৪) সামিয়া।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে। পরে বিধ্বস্ত হয়। উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মধ্য বিধ্বস্ত হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরি হটলাইন চালু
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি হটলাইন চালু করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর 01949043697