ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ০২:৫৪ এএম
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ছবি- সংগৃহীত

ইউরোপের বৃহত্তম ইহুদি ও মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এতে করে ফ্রান্স পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রথম প্রধান দেশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই ছোট ও তুলনামূলক সমালোচনামুখর দেশগুলোর মধ্যে একটি কূটনৈতিক প্রবণতা সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আজকের জরুরি প্রয়োজন হলো গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা এবং নিরীহ বেসামরিক মানুষদের জীবন রক্ষা করা।’

তিনি আরও জানান, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।’

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন তিনি।

এই ঘোষণাকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। তবে এ বিষয়ে ‘ইসরায়েলে’র পক্ষ থেকে এখনো কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেনও একই প্রক্রিয়া শুরু করার ইঙ্গিত দেওয়ার পর এই পদক্ষেপের কথা জানাল ফ্রান্স।

জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ বর্তমানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় অথবা স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বেশ কয়েকটি শক্তিশালী পশ্চিমা দেশ তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, তবে একই সঙ্গে এটি ‘ইসরায়েল’ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উদ্বেগ এবং অসন্তোষের কারণ হতে পারে।

জুন মাসে এক কূটনৈতিক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা একতরফাভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। ফলে ফ্রান্সের এই ঘোষণার ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে টানাপড়েন তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপ্রচেষ্টার ভবিষ্যৎ গতি ও ইউরোপের কূটনৈতিক অবস্থান নতুনভাবে চিহ্নিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।