কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে থাইল্যান্ড সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘাত দ্বিতীয় দিনে গড়ানোর পর শুক্রবার এমন সিদ্ধান্ত নিল থাই প্রশাসন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
থাই সেনাবাহিনীর বর্ডার ডিফেন্স কমান্ডের কমান্ডার অ্যাপিচার্ট সাপপ্রাসার্ত বলেছেন, ‘চানথাবুরির সাতটি ও ত্রাতের একটি জেলায় সামরিক আইন এখন কার্যকর হয়েছে।’
থাই গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চানথাবুরি প্রদেশের মুয়াং চানথাবুরি, থা মাই, মাখাম, লাম সিং, কেং হাং ম্যাও, না ইয়াই অ্যাম, খাও খিচাকুট এবং ত্রাত প্রদেশের খাও সামিং জেলায় এই সামরিক আইন জারি করা হয়।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে এবং উভয় দেশের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছে। এ অবস্থায় থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এ খবর জানানো হয়।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জানান, সংঘর্ষে এখন ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সংঘাত সীমান্তজুড়ে ১২টি স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
থাইল্যান্ডের অভিযোগ, কম্বোডিয়া বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন সব গ্রামবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন।
অন্যদিকে কম্বোডিয়ার দাবি, থাইল্যান্ড যুদ্ধক্ষেত্রে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে। বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ এই ধরনের অস্ত্র বেসামরিক জনগণের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে। তবে থাইল্যান্ড এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সংঘাত মেটাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।’ যদিও আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, উভয় দেশই মৃত্যুর সংখ্যা তুলে ধরেছে। থাইল্যান্ড জানিয়েছে, সংঘর্ষে তাদের ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক ও ১ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার ওদার মেনচি প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।