সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে অনলাইনে বাকবিতণ্ডার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুইটি পরমাণু সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (৪ আগস্ট) এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এতে বলা হয়, আমেরিকা যেন পরমাণু বিষয়ক বক্তব্যে সতর্কতা অবলম্বন করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এরপর আজ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। আমরা বিশ্বাস করি, সবাইকে পরমাণু বিষয়ক বক্তব্যে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।’
এ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, মেদভেদেভের চরম উসকানিমূলক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাবমেরিনগুলোকে উপযুক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করেননি, তিনি পারমাণবিক শক্তিচালিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিনের কথা বলছেন। তিনি মোতায়েনের নির্দিষ্ট অঞ্চল সম্পর্কেও কিছু জানাননি, যেগুলো সাধারণত মার্কিন সেনাবাহিনী গোপন রাখে।
মেদভেদেভ ও ট্রাম্পের মধ্যে এই বাকযুদ্ধ এমন এক সময়ে ঘটে যখন ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এবং তা না মানলে দেশটির বাকি বাণিজ্য অংশীদারদের ওপরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন।
রাশিয়ার অন্যতম কট্টর পশ্চিম-বিরোধী হিসেবে পরিচিত মেদভেদেভ ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বলেন, তিনি চূড়ান্ত হুমকির খেলা খেলছেন এবং ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দেন যে রাশিয়া একটি ‘ভয়ংকর শক্তি’। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নতুন চূড়ান্ত হুমকি আসলে একটি যুদ্ধের প্রস্তাব—এটি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নয়, বরং ট্রাম্পের নিজের দেশের সঙ্গে।’
মেদভেদেভ বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এক মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ধারণা করা হয়, তিনি সেই সময় পুতিনের ‘চেয়ারধারী’ হিসেবে কাজ করেন, যার ফলে পুতিন সাংবিধানিক মেয়াদসীমা পাশ কাটিয়ে প্রকৃত ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হন।
আপনার মতামত লিখুন :