‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন দিন দিন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে’—জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে বেইজিং। তাইওয়ান প্রণালী এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক আচরণের প্রসঙ্গ টেনে জাপান সফরকালে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল এ মন্তব্য করেন। বলেন, ‘চীন বারবার হুমকি দিচ্ছে, তারা একতরফাভাবে অবস্থার পরিবর্তন করবেে এবং সীমান্ত নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নেবে।’
বার্লিনের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (১৮ আগস্ট) জার্মানির সংঘাত উসকে দেওয়া ও উত্তেজনা বৃদ্ধি করা উচিত নয় উল্লেখ করে ‘পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি স্থিতিশীলই রয়েছে’ বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। বলেন, সংঘাত উসকে দেওয়া ও উত্তেজনা বৃদ্ধি করা উচিত নয় বার্লিনের।
আলাস্কায় গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠক প্রসঙ্গে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেন, ‘চীন ছাড়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন চালানো সম্ভব হতো না। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর সরবরাহকারী ও তেল-গ্যাসের সেরা ক্রেতা হলো চীন।’ এ সময় কিয়েভের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেও জানান তিনি।
ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকের আগে জোহান ওয়াদেফুল আরও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আঞ্চলিক বিভিন্ন দেশগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করুন এবং সংঘর্ষ উসকে দেওয়ার ও উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিবর্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। তাইওয়ান প্রশ্নটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’