ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইয়ারোভা গ্রামে রুশ বিমান হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এ হামলা চালানো হয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, নিহতরা সবাই ছিলেন সাধারণ বেসামরিক মানুষ, যারা সেদিন পেনশন তুলতে গিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দোনেৎস্কের আঞ্চলিক প্রধান ভাদিম ফিলাশকিন জানান, জরুরি সেবাকর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন এবং বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইয়ারোভা শহরটি স্লোভিয়ানস্কের উত্তরে, ফ্রন্টলাইনের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত, যেখানে রুশ সেনারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।
হামলায় সময় ঘটনাস্থলে পেনশন বিতরণ চলছিল। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রবীণ বলে জানিয়েছেন লিমান শহরের স্থানীয় প্রশাসক ওলেক্সান্দ্র ঝুরাভলিওভ।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লিমেনকো বলেন, রাশিয়া গ্রামটিতে একটি গাইডেড এয়ার বোমা নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, ইউক্রেনের ডাক বিভাগের একটি গাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাড়িটি পেনশন বিতরণের কাজে ব্যবহৃত হতো। ডাক বিভাগের প্রধান জানান, নিরাপত্তার জন্য গাড়িটি গাছের নিচে রাখা হয়েছিল, কিন্তু তবু হামলার শিকার হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, হয়তো কারো মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান ফাঁস হয়েছে।
ইয়ারোভা শহরটি লিমান ও ইজিয়ুম শহরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনের ধারে অবস্থিত। সেখান থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নোভোসেলিভকা গ্রামে রুশ সেনারা অগ্রসর হচ্ছে। ঝুরাভলিওভ জানান, ফ্রন্টলাইন ১০ কিলোমিটারেরও কম দূরে হওয়ায় তারা বিকল্প ব্যবস্থায় নিরাপদ জায়গায় পেনশন বিতরণের পরিকল্পনা করছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ২২ জনকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগ ডিএসএনএস আরও জানিয়েছে, দোনেৎস্কের অন্য কিছু বসতিতে রুশ গোলাবর্ষণে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনীয় বেসামরিকদের ওপর রাশিয়ার অন্যতম ভয়াবহ হামলা। এর আগে আগস্টের শেষদিকে কিয়েভে রুশ বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন।