ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

স্বামীকে হত্যার পর প্রেমিককে নিয়ে মরদেহের পাশেই ঘুম স্ত্রীর

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
ছবি- সংগৃহীত

ছত্তীসগড়ের গরিয়াবন্দ জেলার কোপড়া নগর পঞ্চায়েতে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক থেকে জন্ম নেয় এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহের পাশেই রাতে ঘুমিয়েছিলেন স্ত্রী ও তার প্রেমিক। 

এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী প্রতিমা সাহু ও তার প্রেমিক দৌলত পটেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চার বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন চুম্মন সাহু ও প্রতিমা সাহু। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। একই গ্রামের বাসিন্দা দৌলত পটেল পেশায় বৈদ্যুতিক যন্ত্র মেরামতকারী। এই সূত্রে চুম্মনের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রতিমা ও দৌলতের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক, যা প্রায় দেড় বছর ধরে চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকবার তাদের হাতে-নাতে ধরেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। অভিযোগ, পরকীয়ার জন্য প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন চুম্মন।

২৫ জুলাই রাতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে চুম্মনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন প্রতিমা। তাকে প্রচুর মদ খাইয়ে অজ্ঞান করার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর মৃতদেহ ঘরে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন তারা।

পরদিন সকালে প্রতিমা কান্নাকাটি শুরু করলে পরিবার প্রথমে ধরে নেয় অতিরিক্ত মদ্যপানে চুম্মনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে দাহকার্যও সম্পন্ন করা হয়। তবে চুম্মনের বাবা ছেলের মৃত্যুকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

জিজ্ঞাসাবাদের মুখে প্রতিমা স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সামনেই প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং ওই রাতে হত্যার ঘটনাতেও জড়িত ছিলেন। তার দাবি, স্বামীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতেই তিনি এই পথ বেছে নেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিমা গ্রেপ্তারের সময় হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন, যা তদন্তকারীদের বিস্মিত করে। পরে তিনি জেরায় সব কিছু স্বীকার করেন।