রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

হরমুজ প্রণালি বন্ধে কি প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে? 

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

হরমুজ প্রণালির মানচিত্র। ছবি- সংগৃহীত

হরমুজ প্রণালির মানচিত্র। ছবি- সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি সংঘাতে উত্তেজনা বেড়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। এই হামলার জেরে এবার গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। ওমান ও ইরানের মধ্যবর্তী এই গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ দিয়ে বিশ্বে পরিবেশিত তেলের একটি বড় অংশ স্থানান্তরিত হয়। হরমুজ প্রণালি বন্ধের সম্ভাবনার খবর প্রকাশের পরপরই বৈশ্বিক বাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়বে আশঙ্কাজনকভাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক এড হির্স জানিয়েছেন, ইরানের হরমুজ প্রণালি বন্ধের ফলে  আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।

এড হির্স বলেন, ‘এই প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয়। অর্থাৎ বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য কোনো সহজ বিকল্প রুট নেই— বিশেষ করে সৌদি আরব, কুয়েত ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য।’

হির্স ব্যাখ্যা করেন, যদি হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল পরিবহন অর্ধেকে নেমে আসে, তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশি হতে পারে। আর দাম বৃদ্ধির এই প্রভাব বিশ্বজুড়ে সব দেশের ওপরই দ্রুত পড়বে।

তিনি মনে করেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইরানে সরাসরি হামলার একটা অজুহাত হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিতে।

তিনি বলেন, ‘তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে তা হবে সরাসরি বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর আক্রমণ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপরও। এমন পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।’

উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইরান প্রায়ই এই প্রণালিকে একটি কৌশলগত চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হুমকির জবাবে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে যে, তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যা গোটা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বারবার এই প্রণালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!