ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক সহায়তা চাইলেন নেতানিয়াহু

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। 

এক ভিডিও বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর বিবিসি বাংলা।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলি সেনারা মধ্যপ্রাচ্যের স্বাধীনতা রক্ষা করছে। 

তিনি বলেন,  ইরানের  বিরুদ্ধে ইসরায়েল পদক্ষেপ না নিলে হামাস ও হিজবুল্লাহকে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত করতে পারে দেশটি।

আমেরিকানদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শত্রু, আপনাদেরও শত্রু। আমরা এমন হুমকির মুখে আছি যা আজ না কাল আমাদের সবাইকে বিপদে ফেলতে পারে।’

নেতানিয়াহু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমেরিকান জনগণ ও বিশ্বজুড়ে অনেকেই ইসরায়েলের পাশে আছেন এবং তাদের সমর্থনে ইসরায়েল কাজ করছে।

এর আগে, ইরানে হওয়া হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী এমন প্রতিশোধ নেবে যা আগে কখনো দেখা যায়নি বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘চাইলেই আমরা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সহজেই একটা চুক্তি করাতে পারি এবং এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি।’

এর আগে, বার্তাসংস্থা আনাদোলুকে হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, তেহরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে প্রস্তুত হয়, তবে এখনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের সুযোগ রয়েছে।

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ যা ঘটছে তা আর ঠেকানো যাবে না। কিন্তু আমরা এখনো একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ধরে রাখছি । যদি ইরান আলোচনায় আগ্রহ দেখায়।’

তিনি বলেন, ‘শান্তি অর্জনের সবচেয়ে দ্রুত পথ হলো ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি পরিত্যাগ করা।’ 

এদিকে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান এবং ওমানের মধ্যস্থতায় পাঁচ দফা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৩ জুন) ষষ্ঠ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা নিয়ে এখন অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া উত্তেজনা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে ওমান। 

ওমান বিবৃতিতে জানায়, ‘এটি অগ্রহণযোগ্য এবং চলমান আগ্রাসী আচরণের প্রতিনিধিত্ব করে যা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ভিত্তিকে ক্ষুণ্ণ করে।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেন, দেশটির পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে বাধা দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। 

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন জানিই যে, তারা এই আলোচনার কোনো মর্যাদা দেবে না, তা হলে আলোচনার অর্থ কী? সুতরাং আলোচনার এই আমন্ত্রণের লক্ষ্য হচ্ছে জনমতকে প্রতারিত করা।’