ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিত  মানুষকে আনন্দ দিয়েছে’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতেই ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও মানুষের ওপর চালানো বর্বরতার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

এতে দেখানো হয়, ইসরায়েলের ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মানুষের উল্লাস এবং সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে ইসরায়েলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, এমন ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষকে আনন্দ দিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) হামলায় সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের গণমাধ্যম।

এ দিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে’ তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন—যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়াবে কি না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, এখনো কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সুযোগ রয়েছে। ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও হতে পারে—এই সম্ভাবনাগুলো মাথায় রেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে তা আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখন দরকার কূটনৈতিক সমাধান।’

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না করা পর্যন্ত হামলার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্প ইরানে হামলার একটি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছিলেন, বুধবার পর্যন্ত তিনি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি।

তবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি এটা (হামলা) করতে পারি, আবার নাও করতে পারি।’ এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, হোয়াইট হাউস এখনো দ্বিধার মধ্যে রয়েছে—সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নেবে, নাকি কূটনৈতিক পথে সমাধানের দিকে যাবে।