মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ‘নাক গলানো’ নিয়ে দোলাচোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে সরাসরি হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কাউন্টডাউন শুরুর প্রথম দিনেই দেশটির বিরুদ্ধে নিজেদের শক্ত অবস্থানের জানান দিল ওয়াশিংটন। ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় কিছু ব্যক্তিকে বিশেষভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। কমপক্ষে ২০টি প্রতিষ্ঠান, পাঁচজন ব্যক্তি এবং তিনটি জাহাজের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিন ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য ‘সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি’ সংগ্রহকারী সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য ‘সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি’ সংগ্রহ এবং ট্রান্সশিপমেন্টে জড়িত থাকার জন্য ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিস (ওএফএসি) একজন ব্যক্তি ও আটটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে এবং একটি জাহাজকে ব্লকড সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
হংকং-ভিত্তিক ইউনিকো শিপিং কোং লিমিটেডের মালিকানাধীন শুন কাই জিং জাহাজটি ওএফএসি-নির্ধারিত রায়ান রোশদ আফজার কোম্পানি ও রায়ান নির্বাহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি টাউসে সানায়ে নিম রেসানায়ে তারাশের জন্য যন্ত্রপাতি বহন করছিল।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘ইরান যেন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে না পারে—এটি নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি- যারা এসব কর্মসূচিকে সাহায্য করবে, তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’