যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন তথ্য আছে যা থেকে ধারণা করা যায়, ইরান চাইলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।
শনিবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।
গত মার্চ মাসে সিনেট কমিটির শুনানিতে মিসেস গ্যাবার্ড বলেছিলেন, গোয়েন্দা সম্প্রদায় বিশ্বাস করে না যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।
এই মন্তব্যগুলো এমন সময়ে এসেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুবার বলেছেন, মিসেস গ্যাবার্ড ইরানের উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল বলছেন।
ইরান বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সার্বভৌম অধিকার রয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলা বন্ধ করার অনুরোধ করা তার পক্ষে কঠিন হবে। যদিও তিনি সংঘাতের অবসানের জন্য কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার (২০ জুন) নিউ জার্সিতে তার গলফ কোর্সে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইউরোপীয় কূটনীতিকরা যেমনটি বারবার বলছেন, তিনি কি চান না যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ দিক, যেন তারা ইরানের ওপর বিমান হামলা বন্ধ করে, যাতে আলোচনার একটি সুযোগ তৈরি হয়?
জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, কেউ যদি জিততে পারে, তাহলে এখনই সেই অনুরোধ করা খুবই কঠিন। কেউ যদি হেরে যায়, তার চেয়ে এটা করা একটু কঠিন। তবে আমরা প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আমরা ইরানের সঙ্গে কথা বলছি। দেখা যাক, কী হয়।’
ট্রাম্প একটু পরে পুনরাবৃত্তি করেন, ইসরায়েলের এখন পর্যন্ত সামরিক সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি কঠিন অনুরোধ হবে।
তিনি বলেন, ‘এটা থামানো খুব কঠিন, কারণ যুদ্ধের দিক থেকে ইসরায়েল এখন ভালো অবস্থায় আছে। ইরান তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। তাই কাউকে থামানো একটু কঠিন।’
ট্রাম্প ইউরোপের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, তারা এই সংঘাত থামাতে কোনো কাজে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘তারা কোনো সাহায্য করেনি। ইরান ইউরোপের সঙ্গে কথা বলতে চায় না, তারা চায় আমাদের সঙ্গে কথা বলতে। এই বিষয়ে ইউরোপ কিছু করতে পারবে না।’
আপনার মতামত লিখুন :