ঢাকা রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

ইরানে কুদস বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের মধ্যে ২১ জুন জর্ডান উপত্যকার বেইত শিয়ানে ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

টানা নয় দিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরানের প্রবীণ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে তেহরান জানিয়েছে, হুমকির মুখে থাকা অবস্থায় ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবে না।

শনিবার (২১ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ইরানের কোম শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিন কর্পসের কমান্ডার সাঈদ ইজাদি নিহত হয়েছেন।

তার হত্যাকে ‘ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিমান বাহিনীর জন্য একটি বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে কাটজ বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজাদি ইসরায়েলের উপর আক্রমণের আগে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ করে গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল।

ইরানি গণমাধ্যমের মতে, খোরামাবাদে হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। তারা মার্কিন ও ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ইজাদির নাম উল্লেখ করেনি।

শনিবার ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েল কোমের একটি ভবনে হামলা চালিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানিয়েছে, ১৩ জুন ইসরায়েল তাদের আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইরানে কমপক্ষে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, দীর্ঘদিনের শত্রুদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে ছিল, অন্যদিকে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বলে দাবি করেছে আসছে।

‘আক্রমণের অব্যাহত থাকলে আলোচনা নয়’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত রয়েছে, তা বন্ধ করা উচিত যাতে ইরান ‘কূটনীতিতে ফিরে আসতে পারে’।

শনিবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় যেতে পারি না, যখন আমাদের জনগণ ওয়াশিংটনের সমর্থনে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে’।

এর আগে, শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আরাঘচি ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন, যারা কূটনীতিতে ফিরে আসার পথ খুঁজছিলেন।

ইসরায়েলের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে প্রবেশ করবে কি না, তা সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। ইরান ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, অথবা অবশ্যই কয়েক মাসের মধ্যে’ পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তা হতে দিতে পারি না’।