ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এবার মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি।
রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি।
এক বিবৃতিতে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়। এটি মুসলিম জাতির স্বাধীনতা, স্বকীয়তা ও মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সমতুল্য। ইসরায়েলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালানো মূলত মুসলিম বিশ্বকে অপমান করা। মুসলিমদের ভূমি দখল, সম্পদ লুণ্ঠন এবং নির্বিচার হত্যাযজ্ঞকে বৈধ ঘোষণা করা।
গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হেজাম আল-আসাদ বলেন, ‘ওয়াশিংটনকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে অত্যন্ত সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফোর্ডো কেন্দ্রেও বোমা ফেলা হয়েছে। এখন বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।’
পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ওয়াশিংটনের ভাষ্যমতে, এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে বি-২ স্টেলথ বোমার, যেগুলো ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা বহনে সক্ষম। এ ধরনের বোমা ভূগর্ভস্থ কংক্রিট স্তর ভেদ করে গভীরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
