ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি অব্যাহত’ থাকবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা চালানোর পর এটি তার প্রথম সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতি। খবর আলজাজিরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে খামেনি জানান, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে; এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে; তারা এখনই শাস্তি পাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো- ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) বলেছে, ইরানে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র অপরাধ করেছে। মার্কিন সরকার অতীতের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধগুলো থেকে শিক্ষা নেয়নি। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আজকের বোমা হামলার জন্য পরিণতি ভোগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে যে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলার পর সাইটের বাইরে তেজষ্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মার্কিন বোমা হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘আমেরিকানদের তাদের আগ্রাসনের জবাব পেতে হবে’।
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। তখন থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ বাসভবন ছেড়ে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। গুপ্তহত্যার শঙ্কায় উত্তরসূরিও ঠিক করেছেন তিনি। ইরানের আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ এবং সামরিক বাহিনীর সর্বময় ক্ষমতা খামেনির হাতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানে সম্ভাব্য শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ‘যদি বর্তমান ইরানি শাসনব্যবস্থা আবারও ইরানকে মহান করতে অক্ষম হয়, তাহলে কেন শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন হবে না?’
আপনার মতামত লিখুন :