ইরানের পক্ষে সমর্থন জানানোর পর মিত্র রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে বলে ক্রেমলিন নিশ্চিত করেছে।
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে কেন্দ্র করেই পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের দাবিতে যুদ্ধ লেগে যায় ইরান-ইসরায়েলের। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল রাশিয়া। ইরান হামলায় ইসরায়েলকে এবং ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল রাশিয়া। ইরানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলার পর শান্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন রাশিয়া।
রাশিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে। মস্কো জানায়, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে’।
মস্কোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘এটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট যে, একটি বিপজ্জনক উত্তেজনা শুরু হয়েছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মধ্যপ্রাচ্যে, যা ইতিমধ্যেই একাধিক সংকটে জর্জরিত, সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট পুতিন আগেই পরিষ্কার করে বলেছেন, রাশিয়া এই সংঘাতে সামরিকভাবে জড়াবে না, কারণ তারা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে নিজস্ব সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। তার মতে, ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের এই উত্তেজনার কোনো সামরিক সমাধান নেই।
উল্লেখ্য, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক দিন আগেই রাতের আঁধারে দেশটির ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা চালায়।
আপনার মতামত লিখুন :