খাদ্য সহায়তা পেতে ক্ষুধার্ত পেটে দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে ত্রাণ কেন্দ্রে আসে গাজার বালক আমির। সফলও হয়েছিল তার সে প্রচেষ্ঠা। হাতে পেয়েছিল কিছু খাবার। তবে সেগুলো নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে গুলি করে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক সেনাসদস্য। নাম তার আগুইলার, তিনি গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর হয়ে সেখানে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কাজ করছিলেন।
আগুইলার জানান, ২৮ মে দিনটিতে গাজার ‘ছোট্ট আমির’নামে পরিচিত ক্ষুধার্ত একটি শিশু তীব্র রোদে দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার হেঁটে এসেছিল ত্রাণ-সহায়তার আশায়। সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কেবল মাটিতে পড়ে থাকা সামান্য চাল আর ডাল কুড়িয়ে পায়।
তিনি তাকে কাছে ডাকেন। তখন আমির তার হাত ধরে চুমু খায়। ওই সময় তাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমির চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ইসরায়েলি সেনারা। ওই গুলিতে প্রাণ যায় শিশু আমিরের।
আগুইলার বলেন, এই দিনটি গাজার অন্য দিনের চেয়ে আলাদা কিছু ছিল না-শুধু মৃত্যুটা একটু আগেই এসে গেছে।’ ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে অনেকেই শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মানবিক সহানুভূতি যেখানে টিকে থাকার শেষ ভরসা, সেখানে এক শিশুর করুণ পরিণতি যেন গাজার নিরব কান্নার প্রতিচ্ছবি।
গাজায় আন্তর্জাতিক সহায়তা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি বিতর্কিত সংস্থার মাধ্যমে গাজার মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে ত্রাণ নিতে গিয়ে এক ১১০০’ র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।