আবারও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হামলা চালালো ‘ইসরায়েল’। দখলদার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে তারা হুথি-নিয়ন্ত্রিত সানার দক্ষিণে অবস্থিত হায়জাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানে। তাদের দাবি, হুথিদের ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।
‘ইসরায়েলি’ সংবাদমাধ্যম বলছে, রাজধানী সানার কাছে অবস্থিত ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তাদের নৌবাহিনী।
হুথি-সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি জানায়, হামলায় কেন্দ্রের জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়, যা পরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ইয়েমেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, জরুরি কর্মীরা বড় ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয়রা অন্তত দুইটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
‘ইসরায়েলি’ সেনারা দাবি করেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হুথি যোদ্ধাদের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ এখনো দেখানো হয়নি। ‘ইসরায়েলি’ প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়, হুথিদের হামলার প্রতিশোধ নিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনও ইয়েমেনে হুথিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তির ঘোষণা দেয়, যাতে বলা হয়, আমেরিকা হুথিদের ওপর বিমান হামলা বন্ধ করলে, হুথিরাও লোহিত সাগরে জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করবে। তবে হুথিরা দাবি করেছে, এই চুক্তিতে ‘ইসরায়েলে’ আক্রমণ না করার কোনো শর্ত ছিল না।
যুদ্ধবিরতির আগে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় ইয়েমেনে ২৫০ জনের বেশি নিহত হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুদ্ধবিরতিতে ‘বোমাবর্ষণ বন্ধ হবে’। তবে সেই সময় ‘ইসরায়েল’কে কিছু জানানো হয়নি বলে ধারণা করা হয়।
পরে ‘ইসরায়েলি’ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেন, প্রয়োজনে ‘ইসরায়েল একা নিজেদের রক্ষা করবে’।