এবার দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলাগুলো হিজবুল্লাহর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে এ ঘটনা গত বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে লেবানন। বার্তা সংস্থা আনাদোলু বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলা চালানোর আগে ইসরায়েলি সেনারা নাবাতিয়েহ প্রদেশের মেইস আল-জাবাল, কফর তিবনিত ও দেববিন শহরের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা এনএনএ নিশ্চিত করেছে, মেইস আল-জাবাল শহরে একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র কর্নেল আভিখাই আদ্রেয়ি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লেখেন, ‘দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী সংগঠনের সামরিক অবকাঠামোর ওপর শিগগিরই হামলা চালানো হবে। ওই অঞ্চলে তাদের কর্মকাণ্ড পুনর্গঠনের অবৈধ চেষ্টার জবাব হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি ভবন খালি করার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরপরই লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম ইসরায়েলের ওপর ‘সর্বোচ্চ’ চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, ‘লেবানন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি, বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন ইসরায়েলের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে অবিলম্বে হামলা বন্ধে বাধ্য করে।’
গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, তার মূল গ্যারান্টার ছিল ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র।