ঢাকা বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

আকাশে অপ্রতিরোধ্য সক্ষমতা অর্জনের পথে পাকিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
এআইএম-১২০ এএমআরএএএম। ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে (পিএএফ) অপ্রতিরোধ্য ও অত্যাধুনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এআইএম-১২০ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া সম্ভব এবং এটি অনেকদূর পর্যন্ত পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম। বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ বা বিভিআর সক্রিয় রাডার ব্যবহার করে এটি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে এটি। খবর সামা টিভির।

ওয়াশিংটনে প্রকাশিত সরকারি নথি অনুযায়ী, পাকিস্তান ২০৩০ সালের মধ্যে পাবে এআইএম-১২০ডি-৩ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ মিসাইল (AMRAAMs), যা এই সিরিজের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ।

চুক্তির মোট মূল্য ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ঠিকাদার রে’থিয়ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়াও তুরস্ক ও অন্যান্য মার্কিন মিত্রদেশগুলোও এই সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র পাবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (বর্তমানে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়্যার’ নামে পুনর্গঠিত) নিশ্চিত করেছে।

এআইএম-১২০ডি-৩ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ মিসাইল হলো এএমআরএএএম পরিবারের সর্বশেষ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (বিভিআর) যুদ্ধের জন্য নকশা করা হয়েছে। এটি শত্রুর যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ছুটে আসা ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করতে সক্ষম। আগের সব সংস্করণের চেয়ে এটি অনেক বেশি নির্ভুলভাবে অনেক দূরত্বের বস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন মিসাইল পাকিস্তানের এফ-১৬ বহরের আঘাত হানার ক্ষমতা ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণে বাড়াবে।

এটি বর্তমানে ব্যবহৃত এআইএম-১২০সি ৫ সংস্করণকে প্রতিস্থাপন করবে। এসব পাকিস্তান ২০১০ সালে কেনা এফ-১৬ ব্লক ৫২ যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে পেয়েছিল।

বিশ্লেষকদের ভাষায়, এআইএম-১২০ডি-৩ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ মিসাইল পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে দূরপাল্লার আকাশযুদ্ধে নির্ভুলতা অর্জন ও ব্যাপক পরিসরে নতুন মাত্রা দেবে। এটি অপ্রতিরোধ হয়ে উঠার দাপে এক গুরুত্বপূর্ণ আধুনিকায়ন ধাপ।’