সংঘাত থামিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর আফগানিস্তানে আবারও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আর আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন।
হামলার ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে। এই শহরটির অবস্থান একদম দুই দেশের সীমান্তের কাছে।
স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা-এর বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ। খবরে বলা হয়েছে, নিহত এবং আহতদের সবাই বেসমারিক এবং একটি বড় অংশই নারী ও শিশু।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সীমান্তে গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনী। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল ১৭ অক্টোবর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে।
বিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যারা বেঁচে গেছেন, তারা সবাই নিন্দা জানিয়েছেন এ হামলার।
হামলার শিকার এবং আহত একজন তোলো নিউজকে বলেন, ‘আমি ইতিহাসে কখনো এমন অবিচার দেখিনি। একটি দেশ, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে—তারা এখানে নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনের ওপরে হামলা করল।’
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর দেশটির ক্ষমতায় ফেরা তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জঙ্গি হামলা বড় বাধা হয়ে আছে।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের পেছনেও এই জঙ্গিসংশ্লিষ্টতাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, তাদের দেশের ভেতর যে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে, আফগানিস্তান তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে আগে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও চলতি মাসেই কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে সংঘাত দেখা গেছে। এই সংঘর্ষ থামাতে সৌদি আরব ও কাতারকেও ছুটে আসতে হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সংঘাতের সমাধানে তিনিও সহায়তা করতে পারেন।