রাজশাহীতে ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ঠান্ডা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগসহ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুক্তভোগী রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা গুরত্বপূর্ণ।
গত দুই দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১২ জন ডায়রিয়া রোগী। ১ ডিসেম্বর ভর্তি হন ৫৭ জন, এর মধ্যে ৩৪ জন বয়স্ক ও ২৩ জন শিশু। ২ ডিসেম্বর ৫৫ জন ভর্তি,যার ৩০ জন বয়স্ক এবং ২৫ জন শিশু।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার সংক্রমণ তুলনামূলক বেশি।
হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি শিশু সাইয়ান আলীর পিতা বুলবুল বলেন, “এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিল, হাসপাতালে আনার পর জ্বর কমেছে, তবে কাশি রয়ে গেছে। দ্রুত ছাড়পত্র পাবেন বলে আশা করছি।”
আরেক রোগীর অভিভাবক সাজন জানান, “ঠান্ডা লাগার কারণে মেয়ের সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়া হয়েছিল, যা এখন ভালো হয়েছে।”
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস সতর্ক করেছেন, “ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং শিশুদের ঠান্ডা বাতাস থেকে দূরে রাখতে হবে। শৈত্যপ্রবাহের সময় শিশুদের ঘরের বাইরে কম বের করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত আরও প্রবল অনুভূত হচ্ছে এবং আগামীতে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে।
রাজশাহী জেলার তাপমাত্রা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ০.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ১.৮ ডিগ্রি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪ ডিসেম্বর সকালে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমলে শীতের অনুভূতিও বাড়বে। আগামীতে আরো শীত বাড়তে পারে।


