বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উচ্ছেদকৃত জায়গায় বৃক্ষরোপণ, সৌন্দর্যবর্ধন এবং শিশু পার্ক নির্মাণ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক শাহরুখ খান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নবনির্মিত শিশু পার্ক চালু হওয়ায় এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি মানসম্মত শিশু পার্ক, যেখানে শিশুরা খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ পাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কে রয়েছে সারি সারি বসার স্থান, বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ এবং শিশুদের জন্য দোলনা, স্লাইডসহ নানা ধরনের খেলার উপকরণ। পুরো পার্কটি নানা রঙের আলো দিয়ে সুসজ্জিত। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শিশুদের হাসি-আনন্দে মুখর থাকে এ পার্ক। তাদের সঙ্গে আসেন অভিভাবকরাও।
অভিভাবক মাকসুদার রহমান রানা বলেন, ‘শিশুরা সবসময় খেলাধুলা ও ঘোরাফেরা করতে চায়। কিন্তু এ এলাকায় আগে বিনোদনের মতো কোনো জায়গা ছিল না। এখন এই শিশু পার্ক হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এটি আমাদের সবার জন্য আনন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে।’
শিক্ষার্থী জান্নাতুল মুক্তাদির সাবা জানায়, ‘প্রতিদিন পার্কে এসে বন্ধুদের সঙ্গে খেলি ও ঘুরে বেড়াই। এখানে এসে খুব মজা লাগে।’
স্থানীয়রা জানান, সৌন্দর্যবর্ধন ও পার্ক নির্মাণের ফলে শিশুদের বিনোদনের সুযোগ বাড়ার পাশাপাশি এলাকাবাসীর চলাচল ও বিশ্রামের জন্য একটি মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে পার্কটিতে আরও খেলার সরঞ্জাম ও আলোকসজ্জা বৃদ্ধি করা হবে, যাতে এটি দুপচাঁচিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক শাহরুখ খান বলেন, হাসপাতাল গেটের সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বিনোদন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
দুপচাঁচিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে আসে, কিন্তু বসার মতো উপযুক্ত জায়গার অভাব ছিল। শিশুদেরও ভালো খেলার স্থান ছিল না। তাই আমরা এই শিশু পার্কটি নির্মাণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শুধু প্রশাসনের নয়; এটি উপজেলাবাসীর সম্পদ। সবাই মিলে যত্ন নিলেই পার্কটি দীর্ঘদিন সুন্দর থাকবে।

