শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

সায়েন্স ফিকশন নয়, বাস্তবে ৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রুণ থেকে পুত্র সন্তানের জন্ম

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

হিমায়িত ভ্রুণের ছবি। বিবিসি থেকে সংগৃহীত

হিমায়িত ভ্রুণের ছবি। বিবিসি থেকে সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে নিঃসন্তান এক দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে একটি পুত্রসন্তান। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সদ্য জন্ম নেওয়া এই শিশুটির ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায় প্রায় ৩০ বছর ধরে সংরক্ষিত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটাই সফলভাবে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমায়িত ভ্রূণ হিসেবে থাকার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯২ সালে হিমায়িত হওয়া একটি ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুরাই ছিল এই রেকর্ডের ধারক। খবর বিবিসির

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রকাশিত বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে এবং ৩৪ বছর বয়সী টিম পিয়ার্স গত শনিবার তাঁদের সন্তান থ্যাডিউস ড্যানিয়েল পিয়ার্সকে জন্ম দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ’কে লিন্ডসে বলেছেন, ‘আমার পরিবার ভাবছে এটা যেন কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমার ঘটনা!’

পিয়ার্স দম্পতি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে গতবছর তাঁরা ১৯৯৪ সালে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি ভ্রূণ দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।ভ্রূণটি তৈরি করেছিলেন সেই সময়ের ৩১ বছর বয়সী লিন্ডা আর্চার্ড নামে এক নারী। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬২ বছর।

লিন্ডা সেই সময় মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন। যার একটি থেকে জন্ম নেয় তাঁর বর্তমান ৩০ বছর বয়সী কন্যা, আর বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায়ই সংরক্ষিত ছিল। পরবর্তীতে লিন্ডার সাথে তার স্বামীর বিচ্ছেদ ঘটলেও ওই তিনটি ভ্রূণ নষ্ট করতে বা গবেষণার জন্য দান করতে কিংবা অজানা কোনো দম্পতিকে দিতে চাননি তিনি। কারণ এই ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর সঙ্গে তাঁর কন্যার রক্তের সম্পর্ক থাকবে বলেই মনে করেন তিনি।

এ কারণে ভ্রূণগুলো সংরক্ষণে প্রতিবছর হাজার হাজার ডলার ব্যয় করেছেন লিন্ডা। শেষ পর্যন্ত ‘নাইটলাইট’নামে একটি খ্রিষ্টান ভ্রূণ দত্তক সংস্থার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। এই সংস্থাটি ‘স্নোফ্ল্যাকস’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে কেউ যদি ভ্রূণ দান করতে চান তবে তাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রহীতা পরিবার নির্বাচন করতে পারেন।

লিন্ডা আর্চার্ড চেয়েছিলেন একজন বিবাহিত, খ্রিষ্টান, ককেশীয় দম্পতি, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। এভাবেই শেষ পর্যন্ত তিনি যুক্ত হন পিয়ার্স দম্পতির সঙ্গে। পরে টেনেসি রাজ্যের ‘রিজয়েস ফার্টিলিটি’ক্লিনিকে এই ভ্রূণ স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

 

 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!